বিএনপির সহিংস রাজনীতি ও সরকারের নীরবতা: একটি উদ্বেগজনক বাস্তবতা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিএনপির কর্মকাণ্ড। দলটি একদিকে গণতন্ত্রের কথা বললেও, অন্যদিকে তাদের নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, এমনকি নিজেদের দলের সদস্যরাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। এ এক ভয়াবহ চিত্র—যেখানে রাজনীতি রক্তাক্ত এবং স্বার্থের খেলায় পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র ও স্থানীয় পর্যায়ের খবরে দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক মাসে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের নেতা-কর্মীই খুন হচ্ছেন। একই সময়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে—যার পেছনে বিএনপির একাধিক গ্রুপের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—সরকার কেন এতো নীরব? একদিকে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ছে, অন্যদিকে প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায় আছে। এটি শুধু বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলছে না, বরং রাজনৈতিক সহিংসতাকে উৎসাহিত করছে।

রাষ্ট্রের উচিত, যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ও নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করা—সেটি যে দলই করুক না কেন। বিএনপি যদি রাজনৈতিক সহিংসতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করে, তবে তা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি। আর সরকার যদি এই অবস্থায় চুপচাপ থাকে, তবে সেটিও সমানভাবে দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।

দেশবাসী এখন একটি প্রশ্নের উত্তর চায়—রাজনীতি কি মানুষের কল্যাণের জন্য, নাকি দলীয় স্বার্থে রক্ত ঝরানোর হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে?

Maniruzzaman

I am Maniruzzaman, a free thinker and political commentator, dedicated to unraveling the complexities of Bangladesh’s political landscape.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button