নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নীরবতা নয়, প্রতিবাদই হোক উত্তর!
বিএনপির অব্যাহত সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের শান্তি, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণের অভাব বহু পুরনো একটি সমস্যা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি যেভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে জনজীবনে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টি করছে, তা শুধু বিরোধী রাজনীতি নয়—একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার জন্যই হুমকিস্বরূপ।
রাস্তা অবরোধ, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড কি আদৌ কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হতে পারে? আন্দোলন হোক, হোক মতের ভিন্নতা—তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত।
দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব সহিংস কর্মসূচির সময় আমাদের অনেকেই চুপ থাকি। কারণ রাজনীতিকে অনেকেই ভয় পাই, এড়িয়ে চলি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই নিরবতা কি আদৌ নিরপেক্ষতা? নাকি সেটা অপরাধীদের জন্য এক ধরনের নীরব প্রশ্রয়?
আমার মতে, এখন সময় এসেছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, সচেতনভাবে প্রতিবাদ জানাবার। প্রতিবাদ মানে হুল্লোড় নয়; বরং সাহসের সঙ্গে সত্য বলার শক্তি। আমরা যারা শান্তি ও অগ্রগতির পক্ষে, তাদের এখন স্পষ্টভাবে বলতে হবে—সহিংসতা দিয়ে নয়, গণতন্ত্র রক্ষা হয় সংলাপ ও সহনশীলতা দিয়ে।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সহনশীল ও উন্নয়নমুখী বাংলাদেশ গড়তে হলে এই সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
⸻
আপনার মতামত কী? সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে আপনি কীভাবে সচেতন ভূমিকা রাখতে পারেন? মন্তব্যে জানিয়ে দিন। আপনার কথাও হতে পারে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা।