বাংলাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের আন্তরিক ভূমিকা প্রয়োজন
বাংলাদেশে চাঁদাবাজি বর্তমানে একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের অনেক স্থানে ব্যবসায়ী, শ্রমিক, পরিবহনকর্মী এমনকি সাধারণ নাগরিকও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। এই অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড সমাজে ভয়, অনিশ্চয়তা এবং ন্যায়ের অভাব সৃষ্টি করছে। তাই চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা আরো অনেক বেশি আন্তরিক ও কার্যকর হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
প্রশাসনের মূল দায়িত্ব হলো জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। কিন্তু চাঁদাবাজি তখনই বাড়ে যখন প্রশাসনের নজরদারি দুর্বল হয়, বা অপরাধীরা রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ছত্রছায়া পায়। প্রশাসনের উচিত এসব চক্রকে চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের ওপর ভয় বা আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে না পারে।
এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। চাঁদাবাজির ঘটনা দ্রুত তদন্ত ও বিচার সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তি পায় এবং অন্যদের জন্য তা দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে যেন তারা ভয় না পেয়ে অভিযোগ জানাতে পারে এবং প্রশাসন তাদের পাশে থাকে।
সবশেষে বলা যায়, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের ভূমিকা শুধু কাগজে কলমে নয়, মাঠপর্যায়ে বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে দৃশ্যমান হতে হবে। আন্তরিকতা, সততা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে প্রশাসন কাজ করলে সমাজে আইনশৃঙ্খলা ফিরবে, মানুষ নিরাপত্তা পাবে এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।